আমরা প্রতিদিন অসংখ্য গাছপালা দেখি, কিন্তু কখনও কি ভেবেছি—এই গাছগুলোকে বিজ্ঞান কীভাবে শ্রেণিবদ্ধ করে? গাছের শ্রেণিবিভাগ (Plant Classification) হলো উদ্ভিদ জগতকে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দলে ভাগ করার একটি প্রক্রিয়া। এটি আমাদের গাছের প্রকৃতি, ব্যবহার এবং বৈজ্ঞানিক দিকটি বোঝার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
???? প্রাথমিকভাবে গাছকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
-
বীজবিহীন উদ্ভিদ (Non-Seed Plants)
যেমন—শৈবাল (Algae), ছত্রাক (Fungi), মস (Moss), ফার্ন (Ferns)। এরা সাধারণত আর্দ্র পরিবেশে জন্মায় এবং স্পোরের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। -
বীজযুক্ত উদ্ভিদ (Seed Plants)
এই গাছগুলো বীজের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে এবং আবার দুই ভাগে ভাগ হয়:-
জিম্নোস্পার্ম (Gymnosperms): খোলা বীজ বিশিষ্ট গাছ, যেমন—সাইকাস, পাইন।
-
অ্যাঞ্জিওস্পার্ম (Angiosperms): আবৃতবীজ বিশিষ্ট ফুলগাছ। এটি আবার দুই ভাগে ভাগ হয়:
-
একবীজপত্রী (Monocot): যেমন—ধান, গম, কলা।
-
দ্বিবীজপত্রী (Dicot): যেমন—আম, রজনীগন্ধা, পেঁপে।
-
-
???? শ্রেণিবিন্যাসের গুরুত্ব কী?
-
এটি উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম ও বৈশিষ্ট্য চেনাতে সাহায্য করে।
-
নতুন ঔষধি গাছ বা খাদ্যশস্য চিহ্নিত করতে সহায়ক।
-
পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
???? উপসংহার:
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক বিশাল অংশজুড়ে থাকা এই গাছপালাকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে তাদের শ্রেণিবিভাগ জানা জরুরি। আপনি কী ধরনের গাছ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না! ????